পবিত্র কুরআনে ইহুদী জাতির কথা আলোচনা করতে গিয়ে তাদের অবাধ্যতার কারনে কিয়ামত পর্যন্ত শাস্তি দেয়া হবে এমন একটা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। ১৪০০ বছর আগে কুরআনে এমন প্রতিশ্রুতির সত্যতা কিন্তু বাস্তবেও প্রমাণিত। কুরআন নাযীলের আগেও ইহুদীদেরকে অনেকবার শাস্তি পেতে হয়েছে, এমন ইতিহাস আছে। কুরআন নাযীলের পরেও বর্তমান সময় পর্যন্ত অসংখ্যবার তাদেরকে দেশছাড়া, হত্যা বা গনহত্যার শাস্তি পেতে হয়েছে। ১৯৪৮ সালের আগ পর্যন্ত ইহুদীরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের পর থেকে তারা প্যালেস্টাইনে একত্রিত হতে থাকে। কুরআনের প্রতিশ্রুতি বা ভবিষ্যৎবাণী কতটা বাস্তব সেটি আমরা আজকে জানতে পারব।
কি বলা হয়েছে কুরআনে?
وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكَ لَيَبْعَثَنَّ عَلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَن يَسُومُهُمْ سُوءَ الْعَذَابِ إِنَّ رَبَّكَ لَسَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌআর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তোমার পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে। নিঃসন্দেহে তোমার পালনকর্তা শীঘ্র শাস্তি দানকারী এবং তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। [সুরা আরাফ – ৭:১৬৭]
কুরআন নাযীলের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখযোগ্য ঘটনা প্রবাহ দেখলে আমরা পাই–
—১০৯৯ খৃষ্টান ক্রসেডারদের হাতে ইহুদী হত্যা ও বন্দি
—১৩৪৬-১৩৫৩ ব্ল্যাক ডেথ বা প্লেগ এ ৫ বছরের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেক জনগোষ্ঠী মারা যায়। এর ইহুদীদেরকে দায়ী করা হয়, এবং হত্যা অথবা বের করে দেয়া হয়, অনেক ইহুদী পোল্যান্ডে চলে যায়।
—১৪৯২ সালে স্পেনে ২ লাখ ইহুদীকে খৃষ্টান ধর্মে কনভার্ট করা হয় আর প্রায় ১ লাখ ইহুদীদের স্পেন থেকে বের করে দেয়া হয়
—১৬৪৮-১৬৫৪ সালে ইউক্রেনে ১লাখ থেকে ৩ লাখ ইহুদী হত্যা করা হয় (যাকে বলে Khmelnytsky massacre বা The Khmelnytsky uprising in Ukraine)
—১৯০০ শতকের শুরুতে রাশিয়ায় ইহূদী বিরোধী রায়টে অনেক ইহূদী ইউরোপ আর আমেরিকায় মাইগ্রেট করে
—১৯৪১-১৯৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানীর হাতে ৬০ লাখ হহুদী গণহত্যার স্বীকার হয় (The Holocaust)
—১৯৪৮ সালে ইহুদীদের জন্য ইসরাইল নামক জায়োনিস্ট রাষ্ট্র গঠন
—আরব-ইসরাইল আর প্যালেস্টাই-ইসরাইল চলমান সংঘাত ও যুদ্ধ